বর্তমানে ই-কমার্স শিল্প খাত দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। বিশ্বব্যাপী আগের চেয়ে অনেক বেশী মানুষ অনলাইন ক্রয়, বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হচ্ছে। অনলাইনে কেনাকাটার হার বৃদ্ধির সাথে সাথে সামনে চলে আসে আস্থা ও বিশ্বস্ততার প্রশ্ন। অসংখ্য ই-কমার্স সাইটের মধ্যে কোন কোন ওয়েবসাইট রিজনেবল প্রাইস ও সঠিক সময়ের মধ্যে পণ্য ও সেবা প্রদান করে তা খুজে বের করা কঠিন। কিন্তু ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করাটা অত্যন্ত জরুরি। কেননা অনলাইন কেনাকাটায় অনেকেরই খারাপ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
অনলাইনে কেনাকাটার জন্য সঠিক ওয়েবসাইট নির্বাচন করা খুব জরুরি। এই নিবন্ধ থেকে আপনারা জানতে পারবেন বাংলাদেশে অনলাইন বিপণন ব্যবস্থার জন্য সেরা ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে
পেপ্যাল ও CACIB (Credit Agricole Corporate and Investment Bank)- এর একটি জরিপ অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সমস্ত ই-কমার্সের টার্নওভার ০.২ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। যা বাংলাদেশের ইকোনমির জন্য একটি বড় অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা যায়।
CACIB দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ১৮ মিলিয়ন। যার বার্ষিক বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এই সংখ্যা পাঁচ বছরে ৩০ মিলিয়নে পৌছবে বলে উল্লেখ করা হয়। এই জরিপে আরও বলা হয়েছে ২০২০ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
অনলাইনে পণ্য বা সেবা বিপণন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১১ সালে Pricewaterhouse Coopers, Nielsen এবং CyberMedia এর যৌথ একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, ই-কমার্স ব্যাবসায়, বাংলাদেশের গ্রোথ ১৬০ শতাংশ যা সারা বিশ্বে তৃতীয় সর্বচ্চ । চীনে ই-কমার্স ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় দুই গুন। থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এই সংখ্যা বাড়তে থাকলেও তারা কিছুটা পিছিয়ে আছে।
যদিও বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু এখন তাকে সফল হিসাবে বিবেচনা করার আগে কিছু সমস্যা ফেস করতে হবে। যেমন, গবেষনায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মাত্র ১.৫ শতাংশ মানুষ ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট ব্যাবস্থায় অভ্যস্ত।
আপনার পণ্য অনলাইনে বিক্রি করার জন্য এডমিন ডিল বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটটি আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় করার জন্য একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ই-মেইলের মাধ্যমে আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন। পাশাপাশি দ্রুত এবং সহজে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে একটি। সহজে অর্থ লেনদেন, বিনামূল্যে তালিকা ও বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ এর জন্য এডমিন ডিল অনন্য। এখনই সাইন আপ করুন এডমিন ডিল ওয়েবসাইটে।
এডমিন ডিল হতে পারে আপনার ব্যবসার জন্য, অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অন্যতম সেরা মাধ্যম। আপনার পণ্য অনলাইনে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে এডমিন ডিল। যার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ।
বাংলাদেশে বর্তমানে অনলাইনে প্রায় ১৫০,০০০ স্টোর রয়েছে। ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ২০০,০০০-এ পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। পণ্য বা সেবা বিপণন ব্যবস্থার জন্য ই-কমার্স কেন এতো আকর্ষণীয়? শারীরিক অবস্থান না থাকা সত্ত্বেও সবাই এখানে ভিজিট করতে পারে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে যারা ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে জড়িত তারা একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যমে তাদের পণ্য ও সেবা বিশ্বব্যাপী ক্রয় বিক্রয় করতে পারে।
সর্বাধিক বিক্রয় এবং জনপ্রিয়তার ক্রম অনুসারে নিচের ওয়েবসাইটগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
Amazon.com -
এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে একটি এবং এখানে প্রায় সব কিছু বিক্রি করা হয় যা যা আপনি কিনতে পারেন।
এখানে ১.৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ পেইড মেম্বার হিসাবে সাইন আপ করেছে। ২০০৬ সাল থেকে যারা ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যদ্রব্য ক্রয় করেছে। ২০১৬ সাল নাগাদ এই সংখ্যা ১০ মিলিয়নে উন্নিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অ্যামাজন শুরু করার পর বাংলাদেশে তার কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চাইছে। ২০০০ সালে তারা একটি ওয়ারহাউজ খোলে যেখানে বর্তমানে ৪০০০ কর্মী কাজ করছে।
অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমঃ
বাংলাদেশি বিক্রেতারা তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য পেপাল, ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড, ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার, মোবাইল মানি এবং ইলেকট্রনিক ওয়ালেট (মোবাইল মানি) সহ বেশ কয়েকটি বিভিন্ন পরিষেবা ব্যবহার করে। বেশিরভাগ লোক ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করে এবং তাদের পণ্যগুলি কুরিয়ারগুলোর মাধ্যম্যে গ্রহণ করে।
অনলাইনে কেনাকাটার জন্য তেমন কোন জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট বাংলাদেশে নেই। Amazon.com বা Alibaba.com-এর মতো প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইটগুলি থেকে ক্রেতা তার প্রয়োজনীয় পণ্য বেছে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্যা হলো সাইট দুইটি ইংরেজী ও চাইনিজ ভাষায় পরিচালিত হয়। আর পণ্য হাতে পাবার জন্য ডেলিভারী চার্জ হিসাবে বেশ কিছুটা খরচ হয়ে যায়।
AliExpress.com -
স্বল্প মূল্যে পণ্য কেনাকাটার জন্য এই ওয়েবসাইট বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। হাজার হাজার স্টোরের মাধ্যমে প্রতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশী লেনদেন হয় এই ওয়েবসাইটে।
বাংলাদেশের ক্রেতাদের জন্য সবচেয়ে সস্তা পণ্য খুঁজে পেতে এবং আন্তর্জাতিক কেনাকাটার জন্য শীর্ষ পছন্দ। হাজার হাজার বিভিন্ন স্টোরের মাধ্যমে প্রতি বছর তাদের 15 বিলিয়ন ডলারের বেশি লেনদেন হয়, যার বেশিরভাগই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা নিজেরাই নিজেদের পণ্য সরাসরি ক্রেতার নিকট বিক্রয় করে।
Shopee.com -
স্থানীয় উদ্যোক্তাদের নিকট তাদের নিজস্ব ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য বা দোকান স্থাপন না করে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যম হিসাবে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে এটি। শোপির অনেক বিক্রেতা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম যেমন অ্যামাজন এবং ফেসবুকেও বিক্রি করে, যা একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও বেশি গ্রাহকের নিকট পৌঁছাতে সাহায্য করছে তাদের।
Banggood.com –
এই ওয়েবসাইটটি ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে বাড়িঘর ও বাগানের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে। তাছাড়া তারা পোশাকও বিক্রি করে। এটি এমন লোকেদের নিকট জনপ্রিয় যারা ডিসকাউন্ট এবং ডিল খুঁজছেন। এটি অনলাইনে ডিসকাউন্ট পণ্যের সন্ধান করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।
বাংলাদেশের ফ্যাশন ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে Shopee.com
এছাড়াও ফ্যাশন-নেক্সট থেকে শুরু করে স্থানীয় বেশ কিছু ডিজাইনার রয়েছে। যেমন-
Bibi, Enamor, and Jannatul Nayeem (JNA), AdminDeal.com.bd । এই উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য বিপণন ব্যাবস্থায় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করেছেন তাদের ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে।
ব্যবহৃত বা পুরানো জিনিস বিক্রির ক্ষেত্রেও কিছু কিছু ওয়েবসাইট কাজ করছে।
অনলাইন স্টোরগুলো অধিকাংশ সময় নারীরা পরিচালনা করেন যারা তাদের জীবন মান উন্নত করতে চাচ্ছেন। তারা তাদের পণ্যগুলো বাজারের চেয়ে কম মূল্যে অনলাইনে বিক্রি করতে পারছেন।
Fashion-Next.com -
বাংলাদেশি ভোক্তার পাশাপাশি বাংলাদেশের বাইরেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ই-কমার্স সাইটি।
শপিং মলে ভ্রমণের ঝামেলা ছাড়াই মানুষ তাদের পোশাক অর্ডার করতে সক্ষম হয়েছে। ওয়েবসাইটটির প্রতি মাসে 300 মিলিয়নেরও বেশি পেজ ভিউ রয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য অনেক বেশি।
Bibi.com এবং JNA.com -
Bibi এবং JNA হল বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড। যারা নিজেদের পণ্যগুলি অনলাইনে বিক্রি করে। বিশ্বব্যাপী তাদের পণ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পণ্যের মানের জন্য ওয়েবসাইটগুলো তালিকার শীর্ষস্থানে থাকবে।
Jabong
এই ওয়েবসাইটটি এখন ভারতের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস Flipkart এর মালিকানাধীন। এটি এখন বাংলাদেশের একটি শীর্ষ অনলাইন ফ্যাশন ওয়েবসাইট এবং দেশের বৃহত্তম অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে একটি। যদিও এটি ২০১২ সাল থেকে চালু হয়েছে তবুও বর্তমানে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। সারা বিশ্বের ১৭৫ টির বেশি ব্র্যান্ড তাদের পণ্য বিপণন করে।
এই ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা উপেক্ষা করা সম্ভব না। কেননা প্রতি মাসে ১ বিলিয়নের বেশি পেজ ভিউ রয়েছে এটির। বাংলাদেশি গ্রাহকরা ২০০০ টাকার উপরে অর্ডার করলে বিনামূল্যে ডেলিভারির সুবিধা পার। শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের মতো অন্যান্য দেশে তারা তাদের ব্যবসা বাড়াচ্ছে Myntra ই-কমার্স ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি তার কেনাকাটার অভ্যাসের দিক থেকে আরও স্বাধীন ও সৃজনশীল হয়ে উঠেছে। ফলে গত কয়েক বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। জামাকাপড়, প্রসাধনী এবং সৌন্দর্য পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা কখনই সহজ ছিল না। এখন যেহেতু এই পণ্যগুলি সস্তা দামে অনলাইনে কেনা যায় এবং বিশ্বের যে কোনও জায়গায় পাঠানো যায় তাই তারা এসব পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে আরও সাবলীল হচ্ছে।
নারীদের জন্য তৈরি করা ই-কমার্স সাইটগুলো তুলনামূলকভাবে নতুন। তবে, এগুলোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ আরও বেশি সংখ্যক মহিলা অনলাইনে পোশাক এবং প্রসাধনী কেনার ব্যাপারে সেরা ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে৷
Jaan.com -
Jabong নামে অপেক্ষাকৃত নতুন একটি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয় এই ওয়েবসাইটটি যা সিঙ্গাপুরে অবস্থিত। কয়েক বছর আগে এটি ভারতের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্ট কিনে নেয়। এটি এখন বাংলাদেশের তৃতীয় জনপ্রিয় ইকমার্স ওয়েবসাইট যা ২০০টিরও বেশি দেশে তাদের পণ্য বিক্রি করে। তাদের পণ্যের মান ভালো এবং বেশিরভাগ পণ্যের খুব যুক্তিসঙ্গত মূল্য রয়েছে। যা তারা গ্রাহকদের জন্য পন্য ক্রয় বিক্রয়ের একটি সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করে।
Rakshabandhan.com
এই ওয়েবসাইটটি একই কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয় যেটি জান্নাতুল নাঈম (জেএনএ) চালায়। ভারত এবং চীনে পোশাকের অনলাইন স্টরগুলোর জনপ্রিয়তা দেখে অনলাইন ফ্যাশন স্টোর চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এর মালিক। JNA-এর মতো জনপ্রিয় না হলেও মান সম্মত পণ্য ও সঠিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার কারনে ওয়েবসাইটটি গ্রাহকদের আগ্রহী করে তুলতে সমর্থ হয়েছে।
Sale.myntra.com
Myntra হল বাংলাদেশে বিক্রয়ের জন্য মহিলাদের ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে সবচেয়ে ট্রেন্ডি ওয়েবসাইট। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করার জন্য তারা কাস্টমাইজ পণ্য বিক্রয় করে। ওয়েবসাইটটি তাদের ২০ এবং ৩০ এর দশকের গ্রাহকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়, যারা আরও ট্রেন্ডি এবং আড়ম্বরপূর্ণ পোশাক খুঁজছেন।
এডমিন ডিল একটি ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস। তাছাড়াও আপনার ই-কমার্স এর জন্য যাববতীয় সলিউশন পেয়ে যাবেন এখানে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে আস্থার সংকট আমরা ই-কমার্সে প্রতিনিয়ত ফেস করি। প্রতিটি ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসে আপনি দেখবেন বিপণন ব্যবস্থায় শুধু ক্রেতা ও বিক্রেতা জড়িত থাকে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হলে তার জন্য অন্য কোন থার্ড পারসন দায়িত্ব নেয় না।
এডমিন ডিল বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ভার্চুয়াল মার্কেট প্লেস যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সরাসরি সেতু বন্ধন তৈরি করছে এডমিন প্যানেল। সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে প্রয়োজনীয় আস্থার সম্পর্ক নিশ্চিত করা হয়। তার পরও যদি কোন রকম ভুল বোঝাবুঝি বা সমস্যা ক্রেতা ওবিক্রেতার মধ্যে সৃষ্টি হয় এডমিন ডিল দ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করে। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে আস্থার সম্পর্ক বজায় থাকে, যা অনলাইনে পণ্য বিপণনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।
আমরা আগেই বলেছি এডমিন ডিল একটি ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস। তাছাড়াও আপনার ই-কমার্স ব্যাবসার জন্য যাবতীয় সলিউশন প্রোভাইড করে এডমিন ডিল। আজকের প্রতিবেদনে আপনারা এই ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেসে কি কি পণ্য বা সেবা পেতে পারেন সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমরা আগেই বলেছি আপনার ই-কমার্স ব্যবসার সম্পূর্ন সলিউশন আপনি পেয়ে যাবেন এডমিন ডিল এ।
এডমিন ডিল এর পণ্য ও সেবাগুলোকে প্রধান দুইটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়।
*** ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট
*** ডিজিটাল প্রোডাক্ট
*** ইলেকট্রনিক্স ও গ্যাজেট
*** স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য চর্চার উপকরন
*** মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ
*** দৈনন্দিন মুদি পণ্য
*** প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী
*** খেলাধুলা ও বিনোদন সামগ্রী
*** ওয়ার্ডপ্রেস থিম ও সফটওয়্যার
*** ডলার, ক্রিপ্টো ও ভার্চুয়াল কার্ড
*** সোশ্যাল মিডিয়া All Service & ETC
উপরে আমরা এডমিন ডিল, ই-কমার্স সাইট এর পণ্য ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এছাড়াও কিছু সেবা পাওয়া যাবে এডমিন ডিল এ। যেমন আপনার যদি একজন ফ্রীল্যন্সার দরকার হয় তাহলে আপনি তা এডমিন ডিল থেকে সোর্স করতে পারবেন। এজন্যে বায়ার হিসাবে আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না। আপনার সেলার একাউন্ট থেকে একটি জব পোস্ট করতে হবে শুধুমাত্র।
সবশেষে, দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পখাত হিসাবে ই-কমার্স ইতিমধ্যেই তার জায়গা পাকাপোক্ত করে নিয়েছে। পরবর্তী পৃথিবীতে পণ্য উৎপাদন ও বিপনণ ব্যবস্থায় ই-কমার্স তার মনোপলি ধরে রাখবে। ফলে আপনার দৈনন্দিন জীবনের ক্রয় বিক্রয় সহ সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রম ভালোভাবে পরিচালনা করতে হলে অনলাইনের সাহায্য আপনাকে নিতেই হবে। কিন্তু আমাদের দেশ ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে আস্থার সম্পর্ক এখনও তৈরি হয়নি। আর এখানে আসে এডমিন ডিল এর কথা। এডমিন ডিল বিক্রেতা ও ক্রেতার মাঝখানে সম্পর্কের সেতু হিসেবে কাজ করছে। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় আস্থার সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। যা অনলাইনে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুই পক্ষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।